বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচকে আওয়ামী দোসররা সক্রিয়। তারা এখন খোলস পাল্টে সবাই এখন বিএনপি হয়ে গেছে। আইন উপদেষ্টাকে দিয়ে তদবির করিয়ে কার্যসিদ্ধি করা হয়েছে। একজন মেম্বার যিনি অর্থের দায়িত্বে বোর্ডকে ম্যানেজ করে কয়েক লক্ষ টাকা এনাম গ্রহণ করার কথাও শোনা যায়। সাথে মেম্বার এডমিন ছিলেন সক্রিয়। বিএনপির কর্মী পরিচয়ধারি এবং একজন ইনজিনিয়ার মিলে আইন উপদেষ্টাকে দিয়ে বিমান সচিবকে ফোন করিয়ে তদবির করিয়ে ষোলকলা পূর্ন করেন। অন্যরা পড়ে আছেন বৈষম্যের শিকার হয়ে। সিন্ডিকেড প্রকাশিত সংবাদ কপি দেখিয়ে আইন উপদেষ্টার দুৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, মন জয় করেছেন।
এ দিকে বেবিচকে আওয়ামী দোসর বলে বৈষম্য বিরোধী কর্মচারীদের দ্বারা চিহ্নিত করা মেম্বার অর্থ হয়ে ওঠেছেন এক অধিকর্তা, তার সানুগ্রহ ছাড়া বেবিচকে অর্থ ছাড়করণ হয় না, ঠিকাদাররা বিল পায় না, তাকে শতকরা ৫% ঘুষ না দিলে অর্থ ছাড়করণ হয় না বলে ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন।
আওয়ামী দোসর মেম্বার অর্থ এবং মেম্বার এডমিন এখন বেবিচকে বড় কর্তা ব্যক্তি, এদের হস্তক্ষেপ ছাড়া বেবিচকে পোস্টিং, পদোন্নতি হয় না। বোর্ডের অন্য সদস্যরা নস্যি, এদের মতামতকে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয় না। ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেন এই দুই মেম্বার, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিও চুপচাপ, যদিও তিনি নাকি বিএনপি ঘরানার বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে আভাস দেয়া হয়েছে।
সব মিলে বেবিচকে আওয়ামী দোসরদের পোয়াবারো। তারা এখন সবাই বিএনপি হয়ে নেপথ্যে এই অন্তর্বর্তী সরকরের বারোটা বাজানোর কাজে সক্রিয় বলে গোয়েন্দ সংস্থা খতিয়ে দেখছে।
বেবিচকে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আওয়ামী দোসরদের একটি তালিকাও মুখথুবড়ে আছে, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বেবিচকের প্রশাসন আওয়ামী দোসরমুক্ত করা হচ্ছে না। সব আওয়ামী দোসর ঘাপটি মেরে বসে আছে। এদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরও প্রশাসন নিষ্কিয়। কারণ যারা ব্যবস্থা নেবেন তারাই তো আওয়ামী দোসর। একজন চিহ্নিত আওয়ামী দোসরের জন্য একজন নারি উপদেষ্টা বার বার বিমান সচিবকে ফোন করে তদবির করেন। ওই আওয়ামী দোসর এখনও বেবিচকে স্ব অবস্থানে বহাল, তার টিকিটিও স্পর্শ করতে পারছেনা বেবিচক কর্তৃপক্ষ।
বেবিচকে আওয়ামী দোসরদের নামে ইজারাকৃত প্রতষ্ঠানও এই সরকারের আমলৈ নবায়ন করা হচ্ছে, ইজারা বাতিল করা হচ্ছে না, আওয়ামী দোসর শমী কায়সারের ধানসিড়ি নবায়ন করা গত আগষ্টে। আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর আত্মীয় আওরঙের প্রতিষ্ঠানও ইজারা মেয়াদ নবায়ন করা হয়েছে। এভাবে আওয়ামী দোসরদেও প্রতিষ্ঠান একটার পর একটা নবায়ন করা হচ্ছে, বরাদ্দ/ ইজারা বাতিল করা হচ্ছে না।
এ দিকে বেবিচকে নেতা পরিচয়ধারি আওয়ামী আমলে লীগার এ আমলে বিএনপির নেতা বনে বেবিচকে ঠিকাদারি ব্যবসা করছে, অন্য প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ করা হচ্ছে । শাহজালালে স্টোরের মালামালও সাপ্লাই ব্যবসা করছে, শাহজালালের রানওয়েতে মার্কার পেইন-এর ৪০ লাখ টাকার কাজ করছে । তার বিএনপি নেতাদের সাথে ফটোসেশন আছে আবার আওয়ামীলীগারদের সাথেও ফটোসেশন আছে। ওই বিএনপি নামধারি নেতা ডিস ব্যবসাও করছে তার ভাইকে দিয়ে, উত্তরায় নেট ব্যবসা করছে। কাওলায় ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে বলে জানা যায়।
তথ্য সূত্র ঃ একুশে বার্তা