শুক্রবার, অক্টোবর ৩১, ২০২৫
No menu items!
বাড়িজাতীয়সৌদি রিয়ালের প্রলোভনে ৩ লাখ হারালেন টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ী

সৌদি রিয়ালের প্রলোভনে ৩ লাখ হারালেন টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ী

ইমরুল হাসান বাবু,স্টাফ রিপোর্টার: সৌদি রিয়ালের প্রলোভনে পড়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ব্যবসায়ী মো. বিদ্যুৎ সরকার। প্রতারকচক্রের ফাঁদে পড়ে তিনি হারিয়েছেন তিন লাখ টাকা। এ ঘটনায় তিনি টাঙ্গাইল সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে, টাঙ্গাইল শহরের ল্যাবজোন ক্লিনিকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগে জানা গেছে, প্রতারকচক্রটি সৌদি রিয়াল বিক্রির কথা বলে ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ সরকারের কাছ থেকে নগদ তিন লাখ টাকা নিয়ে মুহূর্তের মধ্যে উধাও হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী বিদ্যুৎ সরকার জানান, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে তার ভূঞাপুর বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এক অচেনা ফেরিওয়ালা আসে। হাতে থাকা একটি সৌদি রিয়াল দেখিয়ে সে জানতে চায়, টাকা চালানো যাবে কিনা। তিনি জানান, ব্যাংক বা মানি এক্সচেঞ্জ ছাড়া রিয়াল চালানো সম্ভব নয়। তখন ফেরিওয়ালা জানায়, তার সহকর্মী কয়েকটি রিয়াল কুড়িয়ে পেয়েছেন এবং সেগুলো কোথায় ভাঙাবে বুঝতে পারছেন না।
এরপর ওই ব্যক্তি নানা কৌশলে রিয়াল বিক্রির প্রস্তাব দেন। সন্দেহ দূর করতে বিদ্যুৎ সরকার সৌদি প্রবাসী এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান, রিয়াল আসল হলে কিনতে কোনো সমস্যা নেই।
পরদিন সকালে ফেরিওয়ালা আবার যোগাযোগ করে জানায়, ৩০ টাকা দরে সব রিয়াল বিক্রি করবে। এরপর তিন লাখ টাকা ধার-দেনা করে জোগাড় করে বিদ্যুৎ সরকার খালাত ভাইকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের ল্যাবজোন ক্লিনিকের সামনে নির্ধারিত স্থানে যান।
সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল চারজন। কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর ফেরিওয়ালা ব্যাগভর্তি রিয়াল দেখায় এবং ব্যাগটি বিদ্যুৎ সরকারের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু ব্যাগ খুলে দেখেন, ভেতরে কেবল কাগজ ভর্তি। মুহূর্তেই প্রতারকচক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়।

বিদ্যুৎ সরকার বলেন, “আমি একজন সচেতন মানুষ হয়েও মানবিক কারণে বিশ্বাস করেছিলাম। এখন তিন লাখ টাকা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। এই টাকায় অনেকের পাওনা ছিল। আমি চাই প্রতারকচক্রকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক।”

এ ঘটনায় বুধবার রাতে সালাম নামে এক ব্যক্তিকে প্রধান আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবুল বাশার বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বাদীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তথ্য ঘাটতি থাকায় তদন্তে কিছুটা সময় লাগবে।”

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহাম্মদ বলেন, “অভিযোগের বিষয়ে আমি এখনো অবগত নই। প্রতিদিন অনেক অভিযোগ আসে, তবে তদন্তে সহযোগিতা করা হবে।”

Notify of
guest
0 Comments
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
আরো দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ