গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান পরিচালনা করেছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে দুদক গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের একটি দল এ অভিযান চালায়।
অভিযানের আগে গাজীপুর জেলা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক এনামুল হকসহ একটি টিম সকাল ৯টার দিকে রোগী সেজে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। এ সময় হাসপাতালে প্রবেশ করেই বিভিন্ন অনিয়ম তাদের চোখে পড়ে। পরে তারা পরিচয় প্রকাশ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন বিভাগে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানকালে দুদক কর্মকর্তারা রোগী, স্বজন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দপ্তরের নথিপত্র পর্যালোচনা করেন।
অভিযানের সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেসব অনিয়ম ধরা পড়ে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ৮০ শতাংশ সরকারি ঔষধ নেই মজুদশূন্য,হাসপাতালে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, বাথরুমে তালা ঝুলানো,ডাক্তার অনুপস্থিতি,রোগীদের সেবা দিতে হয়রানি,ঔষধ পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে,একজন রোগীর ৮টি ওষুধের মধ্যে ৬টি বাহির থেকে কিনতে হয়েছে। খাবার সরবরাহে অনিয়ম,চলতি বছরে টেন্ডার হয়নি,কোয়ার্টার বরাদ্দে অনিয়ম,যন্ত্রপাতি অকেজোা,খোরশেদ আলম নামে এক ডিলারের অনিয়মের অভিযোগ,দালালচক্রের তৎপরতা
এসময় দুদক কর্মকর্তারা সকল চিকিৎসক ও কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “বাহির থেকে ঔষধ না আনতে।”
গাজীপুর জেলা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক এনামুল হক জানান, স্বাস্থ্যসেবায় অনিয়ম, দালালচক্রের কর্মকাণ্ড, রোগীর ভোগান্তি এবং বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতেই এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। নিয়মিত নজরদারির অংশ হিসেবেই এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযান শেষে দুদক টিম সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও সেবার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
