জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত ২৮তম সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আইন প্রণয়ন ও সংসদবিষয়ক বিভাগের যাচাই-বাছাই শেষে অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন পায়।
এছাড়া, ‘জুলাই বিপ্লব অধ্যাদেশে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় নীতিগতভাবে চূড়ান্ত অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে।
‘জুলাই বিপ্লব অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়াটি পর্যালোচনা করার জন্য কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে রয়েছে- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
সভায় আরও অনুমোদন পায় ড্রেজিং ও ড্রেজিং উপকরণ ব্যবস্থাপনা নীতি, ২০২৪। নীতিটির মাধ্যমে দেশজুড়ে সমন্বিত ড্রেজিং কার্যক্রম ও উত্তোলিত বালু ও মাটি ব্যবহারের প্রক্রিয়া উন্নত করার কথা বলা হয়েছে।
ড্রেজিং কার্যক্রমে ব্যবহৃত হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ হালনাগাদ করে ইজারা কার্যক্রম পরিচালনা, সূর্যাস্তের পর বালু উত্তোলন নিষিদ্ধকরণ এবং অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু নিলামের পরিবর্তে সরকারি নির্মাণকাজে ব্যবহার করার বিধান যুক্ত করে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১’ হালনাগাদ করতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় ‘জাতীয় জীন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৪’ প্রণয়নের বিষয়েও আলোচনা হয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, সাভারে জাতীয় জীন ব্যাংক নির্মাণে প্রাসঙ্গিক চাহিদা নিরূপণ না করেই অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ অবকাঠামোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
সভায় আরও অনুমোদন পেয়েছে জাতীয় নগর নীতি ২০২৫। পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্যের নেতৃত্বে গৃহায়ন ও গণপূর্ত, পরিবেশ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবদের নিয়ে একটি কমিটি নীতিটি পুনর্গঠনের দায়িত্ব পেয়েছে।
এছাড়া, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতকৃত স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজন কাঠামো (Local Led Adaptation Framework–LLAF)-এর খসড়াও সভায় অনুমোদন পেয়েছে। কাঠামোটির উদ্দেশ্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ ও সক্ষমতা বাড়ানো।