মাদককাণ্ডে নাম উঠে আসার পর দীর্ঘ সময় নীরব ছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাফা কবির। কিন্তু ঘটনার প্রায় এক বছর পর, এক টেলিভিশন পডকাস্টে মুখ খুলে জানালেন, কিভাবে এই বিতর্ক তার ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিজীবনে বড় প্রভাব ফেলেছিল।
২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অরিন্দম রায় দীপ গ্রেপ্তার হওয়ার পর, তার জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে শোবিজ অঙ্গনের কয়েকজন জনপ্রিয় অভিনেত্রীর নাম— যার মধ্যে ছিলেন সাফা কবির, টয়া, তানজিন তিশা ও সুনিধি। খবর প্রকাশের পর থেকেই চারদিকে তৈরি হয় নানা গুঞ্জন।
সাফা বলেন, “বৃহস্পতিবার খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর রবিবার আমার একটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই খবরের কারণেই তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে কাজটি বাতিল করে দেয়। আমি বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে, এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু সেটা প্রমাণ করার উপায় কী?”
শুধু ব্র্যান্ড নয়, অনেক সিনিয়র শিল্পীও তখন তার সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় সমালোচনার ঝড়, যার কারণে তিনি একপ্রকার একঘরে হয়ে পড়েন।
তার ভাষায়, “আমরা অনেক সময় না ভেবে নানা হুজুগে চলে যাই। কিন্তু বুঝি না এর প্রভাব কতটা মারাত্মক হতে পারে। আমাদের পরিবার আছে, ক্যারিয়ার আছে। এ ধরনের খবরে আমার বাবা-মাও চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। তারা ভাবছিলেন, মিডিয়াতে কাজ করাটা আমার জন্য নিরাপদ নয়।”
তবে এমন কঠিন সময়ে একদম একা ছিলেন না তিনি। পাশে পেয়েছেন কিছু সহকর্মী ও প্রকৃত বন্ধুদের। সাফা জানান, “তৌসিফ তখনই বলেছিল— সাফার সঙ্গে আমি কাজ করব। জোভানও অনেক সহযোগিতা করেছে, সিয়ামও মানসিকভাবে পাশে ছিল। এমন বন্ধুরাই আমাকে সেই পরিস্থিতি সামলাতে সাহায্য করেছে।”
প্রমাণ ছাড়া কাউকে দোষী বানানো যে কতটা অন্যায় এবং ক্ষতিকর হতে পারে, তা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন সাফা কবির। তার মতে, “কোনো খবর প্রকাশ বা প্রচার করার আগে আমাদের দু’বার ভাবা উচিত। না হলে কারও জীবন ও ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যেতে পারে এক মুহূর্তেই।”