স্টাফ রিপোর্টার টাঙ্গাইল:
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার নাথেরপাড়া এলাকায় টাইলস মিস্ত্রি রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার সাড়ে তিন বছর পর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি মকবুল (৫৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ধনবাড়ীর নাথেরপাড়া গ্রামের মামুন মিয়া রফিকুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
পরদিন (৩ ফেব্রুয়ারি) নিহতের মা ছাহেরা বেওয়া (৫৮) ধনবাড়ী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ কোনো আসামি শনাক্ত করতে না পারায় মামলাটি দীর্ঘদিন অমীমাংসিত ছিল।
পরে ২০২২ সালের ২৫ জুলাই মামলাটির তদন্তভার পিবিআই টাঙ্গাইলের ওপর অর্পণ করা হয়। পিবিআইয়ের তদন্তে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম কিছুটা উচ্ছৃঙ্খল স্বভাবের ছিলেন এবং পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে প্রায়ই বিরোধে জড়াতেন। তার বিরুদ্ধে চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগও ছিল। জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল মামা-মামাতো ভাই ও আপন ভাই হাফিজুরের সঙ্গে।
অভিযুক্ত মকবুল, যিনি রফিকুলের বোনের স্বামী, দীর্ঘদিন রফিকুলদের বাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনার কিছুদিন আগে রফিকুল মকবুলের ঘর ভেঙে দেন, এতে তাদের মধ্যে তীব্র বিরোধ সৃষ্টি হয়।
পিবিআইয়ের এসআই আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে একটি টিম দীর্ঘদিন অনুসন্ধানের পর রোববার (১২ অক্টোবর) রাতে ধনবাড়ীর নাথেরপাড়া এলাকা থেকে মকবুলকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে মকবুল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) তাকে আদালতে পাঠানো হলে তিনি হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেন এবং আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার তথ্য দেন।
পিবিআই বলছে, মকবুলের জবানবন্দির ভিত্তিতে মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।