ইমরুল হাসান বাবু,স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় তিন আহত হয়েছেন।এ ঘটনায় আব্দুল আলীম বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। গত ১২ মে দুপুরে লাউহাটি দক্ষিন পাড়া দুধু মিয়ার বাড়ির সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, উপজেলার লাউহাটি গ্রামের মৃত আবতাফ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল আলীম(৫৫),মৃত তায়েজ উদ্দিনের ছেলে তারা মিয়া(৭০),মৃত জালাল মোল্লাহর ছেলে আব্দুল জলিল মোল্লা(৭৮)।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,লাউহাটি মৌজার ২৫৬০ খতিয়ানের ২৮৮৩ দাগের সাড়ে ৮ শতাংশ ভুমি নিয়ে লাউহাটি দক্ষিন পাড়ার তোতা মিয়ার ছেলে আকবর আলীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে শত্রæতা চলে আসছে আব্দুল আলীমদের। উক্ত জমি নিয়ে আদালতে মামলা ও জেলা প্রশাসকের এলএ শাখায় মিস কসে দ্বায়ের করা আছে। গত ১২ মে দুপুরে মিস কেসের উপর এলএ শাখা থেকে তদন্ত করার জন্য সরকারী লোক আসে। সেই সুত্রে আব্দুল আলীম তার চাচাতো ভাই ও মামাকে নিয়ে সরেজমিনে যায়। পুবর্ থেকে ওত পেতে থাকা আকবর মিয়া(৪৫),লোকমান মিয়া(২৫),সুজন মিয়া(২২),শহিদ মিয়া(৫৫),সাইফুল মিয়া(২৫),রহিজুল মিয়া(২৫),মুনসুর মিয়া(২২) মনির মিয়া(২৫) ,সাজেদা বেগম(৩৮),ইয়াছিন মিয়া(৪৫),শিল্পি বেগম(৩০),তোতা মিয়া(৬০),তুহিন মিয়া (২২), মেহেরা বেগম(৪০),শুভ মিয়া (২০), মহিদুলসহ আরো কয়েজন চাপাতি লোহার রড ও লাঠিশোটা নিয়ে আব্দুল আলীমের নিকট আক্রমন করে। এ সময় আকবর তার হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশে মাথায় কোপ দিলে আলীম হাত দিয়ে ফিরালে তার ডান হাত কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় তারা মিয়া ও জলিল মোল্লা আলিমকে বাঁচাতে গেলে অন্যান্যরা লাঠিয়ে দিয়ে পিটিয়ে গুরতর জখম করে এবং বোর বোন হাছনা বেগমকে টেনে হেঁচরে পড়নের কাপড় ছিরে ফেলে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের উদ্বার করে দেলদুয়ার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসা শেষে আব্দুল আলীম ১৮ মে রোববার সকালে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেন।
এঘটনায় আব্দুল আলীম বলেন, তার ছোটভাই জহিরুল ইসলাম লাউহাটি মৌজায় ১৭ শতাংশ ভুমির মধ্যে সোয়া তিন শতাংশ ভুমি পৈত্রিকভাবে মালিকানা প্রাপ্ত হয়। কিন্তু তার ছোট ভাই গোপনে২০১৭ সালে বোনদের অংশসহ সাড়ে ৮ শতাংশ বিক্রি করেন আকবরের কাছে। আকবর মিয়াও কমদামে পেয়ে জনেশুনে ওই সম্পত্তি ক্রয় করেন। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার শালিস দরবার হয়। পরে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালত থেকে সার্ভেয়ার পরিমাপ করতে আসে। সেখানে আমরা তিনজন উপস্থিত হলে আদালতের লোকজনের সামনেই আকবর ও তার লোকজন তাকে কুপিয়ে আহত করে।
স্থানীয়রা জানায়, লাউহাটি মৌজায় যে জায়গাটি নিয়ে বিরোধ সেটির মধ্যে শোয়া তিন শতাংশ আকবরের টিকে। বাকী সম্পত্তি আলীমের বোনেরা পাবেন। এই ভুমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শত্রæতা চলে আসছে। কয়েকবার মীমাংসার উদ্যোগ নেয়া হলেও তা মীমাংসা হয়নি।
অভিযুক্ত আকবর মিয়া জানান, তিনি জহিরুল ইসলামের নিকট থেকে সাড়ে আট শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এখন তিনি জানতে পারেন ওই সম্পত্তিতে বোনদের ওয়ারিশ রয়েছে। মারামারির বিষয়ে আমিও অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. সোহেব খান জানায়,বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।