বৃহস্পতিবার, জুন ১৯, ২০২৫
No menu items!
বাড়িজাতীয়টাঙ্গাইলে চব্বিশ গ্রামের মানুষের ভরসা ঝুঁকিপুর্ণ বাঁশের সাঁকো

টাঙ্গাইলে চব্বিশ গ্রামের মানুষের ভরসা ঝুঁকিপুর্ণ বাঁশের সাঁকো

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের কাওনহোলা এলাকায় ২৪টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে কঠিন করে তুলেছে। এই সেতুটি সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে, যার কারণে গ্রামবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এটি খুবই বিপজ্জনক। স্থানীয়রা দ্রুত সেতুটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

এই সেতুটি ২৪টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, কিন্তু এটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেতুটি সংস্কার না হওয়ার কারণে, গ্রামবাসীকে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এটি খুবই বিপজ্জনক। অনেক সময় সেতুতে চলাচল করার সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। স্থানীয়রা দ্রুত সেতুটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন, যাতে তারা নিরাপদে চলাচল করতে পারে
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটি আপাতত ব্যবহারের উপযোগী থাকলেও এর কাঠামো নড়বড়ে এবং যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, বর্ষা মৌসুমে সেতুতে চলাচল আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। স্থানীয় কাওনহোলা জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল কাদের বলেন,এই সেতু দিয়েই মুসল্লি, শিক্ষার্থী, রোগীসহ সবাই যাতায়াত করে। বর্ষার সময় সেতু ও রাস্তায় হাঁটাও সম্ভব হয় না। এমনকি মরদেহ দাফনেও কষ্ট হয়। আমরা চাই, এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ হোক। একজন স্থানীয় দোকানদার জানান, প্রতিদিন মালামাল আনতে-নিতে এই সেতু ও রাস্তা ব্যবহার করি। বর্ষায় অবস্থা এত খারাপ হয় যে, মালামাল আনা -নেওয়াই বন্ধ হয়ে যায়। সেতুটি পুরনো হয়ে গেছে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। আমরা খুব কষ্টে আছি। সরকার যদি একটি পাকা সেতু করে দিত, তাহলে জীবনমান ও ব্যবসা বাণিজ্য অনেক সহজ হতো।
স্থানীয়দের দাবি,দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যেন আর কোনো বিলম্ব না হয়। দ্রæত একটি পাকা সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে ২৪টি গ্রামের মানুষের ভোগান্তি লাঘবের অবসান ঘটানো হোক।
ভাদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লুৎফর রহমান বাবুল বলেন,এলাকাবাসীর উদ্যোগে নির্মিত এই বাঁশ-কাঠের সেতুই এখন একমাত্র ভরসা। তবে পাকা সেতু না থাকায় ও সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে মানুষ এখনও চরম দুর্ভোগে ভুগছে  আমরা একাধিকবার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. তোরাপ আলী  বলেন,ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিস হতে বনগ্রাম বাজার হয়ে সেহরাইল পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ৩’শ মিটার রাস্তা এবং কাওনহোলা খালের ওপর ৪০ মিটার দীর্ঘ একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের প্রকল্পের প্রস্তাব তৈরি করে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলে দ্রæত বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
আরো দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ