গাজীপুরের টঙ্গীতে চুরি সন্দেহে থানায় আটক থাকা অবস্থায় রনি (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টঙ্গী পশ্চিম থানার গারদখানায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, গারদের ভেতরে অসুস্থ হয়ে পড়লে রনিকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত রনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মিরে-রব্যতকার এলাকার বাসিন্দা কালু মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানার বড় দেওড়া ফকির মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে রনিকে তার স্ত্রী নিলুফা, স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল (৪০) ও নুর ইসলাম (৩৮) মিলে কিছু চোরাই পানির পাম্প ও পাইপসহ থানায় নিয়ে যান। তাঁদের অভিযোগ, রনি মাদকের টাকা জোগাড় করতে নিয়মিত চুরি করেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রনিকে আটক করে থানার গারদখানায় রাখে।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে রনি গারদের ভেতরে থাকা বাথরুমে যান। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি বের না হলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য ভেতরে গিয়ে দেখেন, রনি মাটিতে পড়ে আছেন এবং তাঁর একটি পা কমোডে আটকে রয়েছে। পরে তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপ–পুলিশ কমিশনার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “রনিকে চুরির অভিযোগে থানায় আনা হয়। সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত চলছে।”
এদিকে রনির মৃত্যু নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। থানায় আটক থাকা অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ময়নাতদন্ত ও তদন্ত সম্পন্নের দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা।