গাজীপুরের শ্রীপুরে থাকার ঘর থেকে মনোয়ারা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্ৰামের মাইনুদ্দিন প্রধানের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় তাঁকে ঘরের ভেতর ধর্ণার সাথে ওড়নায় ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্বজনেরা।
মনোয়ারা খাতুন ওই গ্রামের মাইনুদ্দিনের মেয়ে ও পাশ্ববর্তী বেইলদিয়া গ্ৰামের শরিফের স্ত্রী। তিনি বাবার বাড়িতে থেকে ছোট্ট মনোহারি দোকান চালাতেন। দুই সন্তানের এই জননী গত তিন বছর ধরে বাবার বাড়িতেই থাকেন। তবে তাঁর স্বামী তাঁদের ( স্বামীর) বাড়ি একই উপজেলার বেলদিয়া গ্ৰামে থাকেন।
মনোয়ারার বাবা মাইনুদ্দিন প্রধান বলেন, সোমবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে মেয়ের থাকার ঘর থেকে ছোট নাতির চিৎকার শুনে তারা এগিয়ে যান। গিয়ে দেখেন ঘরের ধর্ণায় ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আছে তার মেয়ে মনোয়ারা খাতুন। দ্রুত ওড়না কেটে তাকে নিচে নামিয়ে আনেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু।
তিনি বলেন, গত তিন বছর ধরে মেয়ে দুই সন্তান ও স্বামীসহ তার বাড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন । স্বামী মাঝে মাঝে বাবার বাড়িতে চলে যান। গত ১০-১২ দিন আগে তার বড় নাতি দাদার বাড়িতে বেড়াতে যায়। তার বাবাও সেখানেই অবস্থান করছেন। রোববার বিকেলে বড় নাতিকে তার দাদুর বাড়িতে ব্যাপক মারধর করেন স্বজনেরা। বিষয়টি মুঠোফোনে বড় নাতি তার মা মনোয়ারাকে জানায়। এরপর মনোয়ারা তার স্বামীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করায় দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। মাইনুদ্দিন প্রধান বলেন, ‘ আমার ধারণা, ছেলেকে মারধরের প্রসঙ্গে ছেলের বাবার সাথে ঝগড়ার জেরে আমার মেয়েটা আত্মহত্যা করেছে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার পণ্ডিত বলেন, ‘ প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে ‘