গাজীপুরের শ্রীপুরে পাওনা টাকা চাওয়ার জের ধরে দুই জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে নির্যাতনের ৬ দিন পর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে মারা যান। এর আগে গত শনিবার তাকে একই গ্রামের মোঃ কাজল ও তার স্বজনেরা মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আনোয়ার হোসেন কিছুটা মানসিক বিকাশগ্রস্ত ছিলেন।
নিহত আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ রিয়াদ হোসেন বলেন, অভিযুক্ত মো: কাজল তার বাবার কাছ থেকে বছরে ধান দেয়ার শর্তে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। বারবার টাকা ফেরত চাইলেও তিনি তা দিচ্ছিলেন না। মাসখানেক আগে কাজলের কাছে তার বাবা টাকা চাইতে গেলে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। তখন শ্রীপুর থানায় কাজলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা। সে সময় টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে বিষয়টি মীমাংসা হয়। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী টাকা ফেরত না দেয়ায় তার বাবা গত শনিবার কাজলের মহিষ নিয়ে চলে যেতে থাকেন। রাস্তা থেকে তার বাবাকে ধরে এনে কাজল ও তার লোকজন মারপিট করেন। এ সময়ে গাছে বেঁধে তার উপর নির্যাতন চালানো হয়।
রিয়াদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তার বাবার বুকের উপর উঠে অমানুষিক নির্যাতন চালানোর ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। এরপর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় তার বাবার মৃত্যু হয়।
এবিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, প্রতি বছরে ৫মণ করে ধান দেয়ার শর্তে আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ধার নেন কাজল। টাকাটা ফেরত চাইতে আনোয়ার হোসেন, কাজলের কাছে গেলে কাজল সময় চান। পরে মহিষ বিক্রি নিয়ে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে এলাকার লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। বৃহস্পতিবার রাতে আনোয়ার হোসেন অসুস্থতা বোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। যেহেতু নিহতের পরিবারের অভিযোগ মারধরে আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয়েছে তাই আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বিষয়টি এখন সাধারণ ডায়েরী আকারে থাকবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের মৃত্যুর কারণ জানার পর মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।