দেশের দুটি শীর্ষ দৈনিক ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’-এর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে একদল বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এতে দুই পত্রিকার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং শুক্রবার ছাপা পত্রিকা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। তাদের অনলাইন কার্যক্রমও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা বিবিসি বাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তারা জানান, আকস্মিক হামলা ও অগ্নিসংযোগের পর কর্মীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে।
সূত্রমতে, কয়েকশ লোকের একটি দল প্রথমে প্রথম আলো এবং পরে দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা অফিসের বিভিন্ন সম্পত্তি ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলার সময় দুই প্রতিষ্ঠানের বহু সাংবাদিক ও কর্মী ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে এবং আটকা পড়া কর্মীদের উদ্ধার করে। রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে পত্রিকা দুটির সংবাদকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও হামলাকারীদের প্রতিহত করতে কার্যকর তৎপরতা দেখা যায়নি। এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈন্যু মারমা দাবি করেন, পুলিশ হামলাকারীদের নিবৃত করার চেষ্টা করেছে।
হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে পত্রিকা দুটির সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ছাপা পত্রিকা প্রকাশ ও নিয়মিত অনলাইন কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ঘটনার কারণ ও হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে এখনও কোনো স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
