টাঙ্গাইলের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশ–ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে আদালতের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইলের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান।
কনফারেন্সে ফোকাল পার্সন ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মাহবুব সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হোসেন, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শফিকুল ইসলাম রিপন, সিভিল সার্জন ডা. ফরাজী মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম মঞ্জু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জহুর আজহার খানসহ অন্যান্যরা।
এ ছাড়া কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ), বিদ্যুৎ আদালতের বিচারক, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পারিবারিক আদালতের বিচারক, বন আদালতের বিচারক, জেলা অ্যাডভোকেট বার সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন থানার ওসি, কোর্ট ইন্সপেক্টর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, সিএসআই ও জিআরও কর্মকর্তারা।
সভায় বক্তারা ফৌজদারি মামলার দ্রুত ও কার্যকর তদন্ত, যথাসময়ে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা, এবং ময়নাতদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি সাক্ষীদের নিরাপত্তা, ভারী ও বড় আলামত জব্দে প্রতিবন্ধকতা, বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে মামলার প্রক্রিয়াগত সমন্বয় ও সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা নিরসনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান বলেন,
সঠিক তদন্ত, সঠিক বিচার প্রক্রিয়া ও সময়মতো বিচার নিশ্চিত হলে একটি এলাকায় অপরাধপ্রবণতা কমে আসে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ–ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স হলো পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেসি বিভাগের মধ্যে সমন্বয় জোরদার ও বিচার প্রক্রিয়ার গতিশীলতা বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এ সময় তিনি যথাযথ ধারায় মামলা রুজু, সঠিকভাবে আলামত সংগ্রহ এবং দ্রুত আদালতে উপস্থাপনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে।
