ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীর শেকড় যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তা টেনে তুলে ফেলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মালিথীয়া গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর আক্রমণ যে বা যারাই ঘটাক না কেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। অপরাধীর যত শেকড়ই থাকুক, সমস্ত শেকড় টেনে তুলে ফেলা হবে।’
ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। যত বাধার প্রাচীরই আসুক না কেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল বেগম খালেদা জিয়া ও ওসমান হাদির সুস্থতা কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, তাদের অন্যতম অগ্রদূত ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। আজ তিনি আততায়ীর গুলিতে আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আমরা তার জন্য বিশেষ মোনাজাত করছি।’
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে এমপি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘খুব অচিরেই আমি অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব ছেড়ে একজন ভোটপ্রার্থী হিসেবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসবো। তখন আপনাদের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ও আনন্দের কথা ভাগ করে নিতে চাই। সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে আপনাদের সেবা করতে চাই।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বারী মোল্লা, ঝিনাইদহ জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ওসমান আলী বিশ্বাস, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম হিরো, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদসহ আরও অনেকে।