জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ফয়সাল করিম মাসুদের অবস্থান সম্পর্কে এখনও সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এসব কথা জানান। তিনি বলেন, “হত্যাকারী কোথায় আছে তা জানা থাকলে তাকে এতক্ষণে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হতো।”
উপদেষ্টা আরও জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এই হত্যাকাণ্ডকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এতে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সে কোথায় আছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। দেশেও থাকতে পারে, আবার দেশের বাইরে থাকতে পারে। আমরা যদি তার প্রকৃত অবস্থান জানতাম, তবে তো তাকে ধরেই ফেলতাম। সে বৈধ পথে দেশত্যাগ করেনি, তবে অবৈধ পথে গেছে কি না— তা এখনই বলা সম্ভব নয়।”
তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানিয়ে তিনি বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযানে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মূলহোতা ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী শাহেদা পারভীন সামিয়া, তার বাবা-মা, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নান রয়েছেন। এছাড়া বিজিবির অভিযানে দালাল চক্র ফিলিপের সহযোগী আরও পাঁচজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযানে উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে রয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ৪১ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং একটি খেলনা পিস্তল। তবে মূলহোতা শনাক্ত হলেও হত্যাকাণ্ডের মোটিভ ও তদন্তের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য বিস্তারিত তথ্য এখন প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, গত রোববারও পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির পক্ষ থেকে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছিল। সরকার এই ঘটনায় দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর বলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ পুনরায় জানিয়েছেন।
