রাজধানীর বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার পর তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে ফোন করলে তার দপ্তর থেকে জানানো হয় যে, হাদির অবস্থা ক্রিটিক্যাল (আশঙ্কাজনক)। তার মাথায় ঢুকে থাকা বুলেট এখনও বের করা যায়নি।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তিনি গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, বেলা ২টা ২৫ মিনিটে মোটরসাইকেলযোগে এসে দুই দুর্বৃত্ত হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় হাদির পেছনের রিকশায় থাকা মো. রাফি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিবরণ দেন। তিনি বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে হাইকোর্টের দিকে যাচ্ছিলাম। বিজয়নগর পৌঁছাতেই মোটরসাইকেলে করে দুজন এসে হাদি ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।’
ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “নির্বাচনী পরিবেশে এমন সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য। দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।”
আহতের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করতে বলেছেন।
একই সঙ্গে ঘটনাটির দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ প্রদান করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
