জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয় ও সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, “পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের শাসনামলে জনগণের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ ছিল না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় জনমনে প্রশ্ন উঠছে— যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে? এমন তো হবার কথা ছিল না।”
তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বিএনপির বিজয় ঠেকাতে এখন সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল শুরু হয়েছে। গণতন্ত্র উত্তরণের পথে নিত্যনতুন শর্ত আরোপ করে সংকট তৈরি করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী বা বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে।”
তিনি আরও জানান, “দেশের প্রতিটি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকলেও বাস্তবতার কারণে সবাইকে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গী অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেবে।”
নারী ও শিশুর নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তারেক রহমান বলেন, “নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তাহীন সমাজ সভ্য সমাজ হতে পারে না।” এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ও সচেতন নারী সমাজকে সরব হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
