দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়কে অবৈধ ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ এ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন—বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। এর আগে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত আপিলের রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।
১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ কয়েকজন রিট দায়ের করেন। শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিশেষ বেঞ্চ সংশোধনীটিকে বৈধ ঘোষণা করে। তবে ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে আপিল করা হলে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ ৪–৩ ভোটে সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন।
এর পর ২০১১ সালেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধান থেকে অপসারণ করে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এর আগে ১৯৯১ সালের নির্বাচন হয়েছিল রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে, যার নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। তিনি প্রধান বিচারপতির পদ ছেড়ে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
