সাভারে বিসিক চামড়া শিল্পনগরী ট্যানারিতে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। তবে ট্যানারি মালিক ও কর্তৃপক্ষ চামড়ার দাম নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও মৌসুসি চামড়া ব্যবসায়ীদের হতাশার যেন শেষ নেই। সরকার নির্ধারিত দাম না পেয়ে লোকসান হচ্ছে বলে দাবি করেছেন একাধিক মৌসুমি ব্যবসায়ী।
রোববার (৮ জুন) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ট্যানারি এলাকায় কর্মরত শ্রমিকরা চামড়া লবণ মাখানো, কাটিং ও সোকিংয়ের মতো কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চামড়া আসছে বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা, আড়ৎদার এবং মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।
মধু হাজী ট্যানারির শ্রমিক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল থেকেই লবণ লাগানো শুরু হয়েছে। সেগুলো কাটিং করে সোকিং দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল ফ্লাসিং দিয়ে ডামে ঢোকানো হবে। এরপর কেমিক্যাল দেওয়া হবে।’
ট্যানারি মালিকদের মতে, ঈদের ১০ দিন পর্যন্ত ঢাকাসহ আশপাশ থেকে চামড়া সংগ্রহ করা হবে। পরে দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে লবণযুক্ত চামড়া আসবে।
মধু হাজী ট্যানারির ব্যবস্থাপক মো. ইমন ইসলাম বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টা থেকে চামড়া আসা শুরু হয়েছে। যা সকাল ১০টা পর্যন্ত চলেছে। চামড়াগুলো আমরা লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করছি, যা ১০–১৫ দিন থাকবে। এরপর পরবর্তী প্রক্রিয়ায় নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বছর আমাদের সংগ্রহ গতবারের তুলনায় ১৫-২০ শতাংশ কম হয়েছে। এর পেছনে অর্থনৈতিক অবস্থা ও সার্বিক পরিস্থিতি কারণ হতে পারে।
শনিবার চামড়া শিল্প নগরীর কার্যক্রম পরিদর্শনে যান শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এক সময় কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি উন্মুক্ত ছিল। পরে দেশের স্বার্থে তা বন্ধ করা হয়। এখন দরকার হলে সীমিত আকারে রপ্তানির বিকল্প রাখা হয়েছে। তবে এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া নয়।এ বছর ট্যানারি মালিকরা প্রায় ১ কোটি পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন।