রাজশাহীর বাঘায় মোটরসাইকেল নিয়ে মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে গিয়ে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় বাবা-মেয়ের দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একই সঙ্গে আহত হয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা মা। তারা তিনজনই একই মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন।
সোমবার (১৯ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে বাঘা উপজেলার বানিয়াপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বানিয়াপাড়ার শান্ত ইসলাম, তার স্ত্রী জেসমিন এবং তাদের মেয়ে উম্মে তুরাইয়া (৫)। এদের মধ্যে বাসচাপায় শান্ত ও তুরাইয়ার পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে শান্ত তার স্ত্রী-কন্যাকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। পথে বানিয়াপাড়ায় পৌঁছালে ঢাকাগামী সুপার সনি নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
এ সময় বাবা-মেয়ে বাসের নিচে চাপা পড়ে। এতে বাবা ও মেয়ের শরীর থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় শান্তর স্ত্রীও আহত হয়েছেন। তাদের তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকালে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শান্ত আসলাম মারা যান।
এ ঘটনার পরে বাসের চালক ও সহকারীরা পালিয়ে যায়। বাসটি পুলিশ জব্দ করে থানায় নিয়ে গেছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান বলেন, এটা নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। শান্ত মারা গেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।