আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে নির্বাচন কমিশন কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে রাষ্ট্রের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। মনোনয়ন বাণিজ্য সাধারণত গোপনে হয়ে থাকে; তবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট ও প্রমাণযোগ্য অভিযোগ পেলে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি জানান, ঋণখেলাপিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আরপিও (Representation of the People Order) সংশোধনের আইনি সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনে আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারবে।নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, গত দেড় দশকে নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ও আত্মবিশ্বাস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই হারানো আস্থা পুনরুদ্ধার করাই বর্তমান কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি উল্লেখ করেন, কোনো সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে স্পিকার নিজ ক্ষমতাবলে বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠাতে পারেন। যদিও অতীতে দেশে এ ধরনের চর্চা ছিল না। তবে সাম্প্রতিক আইনি সংশোধনের ফলে এখন নির্বাচন কমিশন চাইলে স্বপ্রণোদিত হয়ে সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করতে পারবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য তার পদ হারাতে পারেন।
