ভয়াবহ খারাপ অবস্থায় থাকা ব্যাংকবহির্ভূত ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমানতকারীর টাকা ফেরত দিতে না পারা, উচ্চ খেলাপি ঋণ ও মূলধন ঘাটতি– এই তিন সূচকের ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শেষে আর্থিক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫২ শতাংশ খেলাপি ঋণ এ ৯টি প্রতিষ্ঠানের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এ ৯টি প্রতিষ্ঠান লিকুইডেট করা হবে। সরকার নীতিগতভাবে এ বিষয়ে মত দিয়েছে।’
আগামী মাসেই ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন-২০২৩ অনুযায়ী কিছু প্রতিষ্ঠানের লিকুইডেশন (বন্ধ করে দেওয়ার) প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
এ আইনে বলা আছে, সরকারের অনুমতি নিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক হাইকোর্টে আবেদন করতে পারবে। কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি আমানত, ঋণ বা ধার শোধ করতে না পারে। তবে কোম্পানি আইনেও তাদের রক্ষা করা যাবে না।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা এটি করছি শুধুমাত্র আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। তাদের স্বার্থই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।’
তিনি জানান, লিকুইডেশন হবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এজন্য লিকুইডেটর (প্রতিষ্ঠান বন্ধের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি/সংস্থা) নিয়োগ করবে।
গভর্নর আরও জানান, শেষ পর্যন্ত ৯টির বেশি ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) বন্ধ হয়ে যেতে পারে।