ইমরুল হাসান বাবু,স্টাফ রিপোর্টার:
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আপন চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও চারজন।
অভিযুক্ত ওই বিএনপির ওই নেতার নাম বাদশা মিয়া। সে উপজেলা বিএনপির তাঁতী, মৎস্যজীবী ও উপ-জাতি বিষয়ক সম্পাদক এবং মামুদনগর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন।
নিহত আব্দুল জব্বার (৫২) উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের সুদামপাড়া গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে।
সোমবার (১৯ মে) ভোরে উপজেলার মাহমুদ নগর গ্রামে সুদামপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন,একই গ্রামের রবিউল (২১), আব্দুল আজিজ (৩৫), আলী হোসেন (৫৫) ও লাল হোসেন (৫০)। বর্তমানে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছিল বিএনপি নেতা মো. বাদশা মিয়ার সঙ্গে তার চাচাতো ভাই জব্বারের সাথে। স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হওয়ায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সম্প্রতি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিএনপি নেতা বাদশা মিয়া জমি দখলের চেষ্টা করেন। গত রোববার আদালতে হাজিরা শেষে বাড়ি গিয়ে রাতে বিএনপি নেতা বাদশা মিয়া তার চাচাতো ভাই জব্বারের পরিবারকে গালিগালাজ করেন। জব্বারের পরিবারও প্ল্টা জবাব দেয়। এর জের ধরে সোমবার ভোরে বিএনপি নেতা তার লোকজন নিয়ে জব্বারের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে জব্বারসহ তার পরিবারের কয়েকজন পিটিয়ে গুরতর আহত করেন।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জব্বারকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকীদের ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ফারহানা আফরোজ বলেন, “জব্বারকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।