রাজধানীর রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান থেকে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৮২ জনের মরদেহ উত্তোলন শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার বিকালে কবরস্থান এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট গণকবর ঘিরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে এবং শিগগিরই ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হবে।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, মরদেহ উত্তোলনের প্রথম দিন সংস্থার প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা现场 উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে এলাকায় তাঁবু ফেলে মরদেহ উত্তোলন ও নমুনা সংগ্রহের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এর আগে গত ৪ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পুলিশের করা আবেদনের ভিত্তিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আবেদনে মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মাহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে জন্ম নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিভিন্ন বয়সের বহু নারী-পুরুষ নিহত হন। তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে মরদেহ উত্তোলন জরুরি হয়ে পড়ে।
সিআইডির ফরেনসিক ইউনিট জানায়, কবরস্থান এলাকায় স্থাপিত অস্থায়ী তাঁবুতেই ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। সব প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পুনরায় যথাযথভাবে দাফন করা হবে।
সূত্র জানায়, পরিচয় শনাক্তে বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও সহযোগিতা করবেন। মরদেহ উত্তোলন থেকে ডিএনএ পরীক্ষার পুরো প্রক্রিয়া এক মাস বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
