আল্লাহ আমারে এহনো নেয় নাই।বাইচা আছি তয় এহন আর কিছুই দেয় না। আমারে কাগজে মৃত দেখিয়ে গত এক বছর ধরে ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে।মরার আগেই কাগজে আমারে মাইরা ফেলাইছে,কথাগুলো বলেছেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বিনোদগালা গ্রাামের বিধবা তারামন বিবি (৯৩)। তিনি মৃত হাকিমদ্দিন মোল্লার স্ত্রী। এক বছর ধরে এই বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে তার বয়স্ক ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হাবিবুর রহমান হারেজ টাকা খেয়ে এমন কারসাজি করেছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার একটু ভুল হয়েছে। আমি মৃত সনদ দিইনি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভুলে মৃতের প্রত্যয়ন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যার নাম কার্ডে উঠেছে, তার কাছ থেকে আমি কোনো বাড়তি সুবিধা নিইনি।তবে হরিরামপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আঈয়ুব আলী জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের প্রত্যয়নের ভিত্তিতেই তারামন বিবিকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তারামন বিবির ছেলে হাসমত মোল্লা গত ১৪ জুলাই হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি দেওয়ান হাবিবুর রহমান হারেজকে দায়ী করেছেন।সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যেমন- বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বড় একটি ভরসা। কিন্তু এই সুবিধা যদি কোনো প্রতিহিংসা, অবহেলা কিংবা দুর্নীতির শিকার হয়, তা হলে তা শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, মানবাধিকারেরও লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। যদি অনিয়ম পাওয়া যায়, তা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।