বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফার্মেসি বিভাগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে ওয়ার্ল্ড ফার্মাসিস্ট ডে। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল “থিঙ্ক হেলথ, থিঙ্ক ফার্মাসিস্ট”, যা ফার্মাসিস্টদের জনস্বাস্থ্যে অবদানকে কেন্দ্র করে গুরুত্ব আরোপ করে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়, যাতে অংশ নেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অতিথিরা। র্যালি শেষে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনে ফার্মেসি বিভাগের শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুকুমার বেপারী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “ভালো ক্যারিয়ার ও সফলতা অর্জনের জন্য সংগ্রামের পাশাপাশি দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন অপরিহার্য। শিক্ষার্থীদের এখন প্রযুক্তির সাথেও প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে, তবে প্রযুক্তি মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন — তাই দক্ষ মানবসম্পদের গুরুত্ব কখনোই কমবে না।”তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, সীমিত অবকাঠামোর মধ্যেও জবি শিক্ষার্থীরা নিজেদের যোগ্যতা ও সক্ষমতা দিয়ে একজন সফল ফার্মাসিস্ট হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আ. সামাদ মৃধা। তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের ফার্মাসিস্টদের অবদান অনস্বীকার্য। আশা করছি, খুব শীঘ্রই দেশে হাসপাতাল ফার্মাসিস্ট নিয়োগ শুরু হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই।”সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সুকুমার বেপারী বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন সংকটময় মুহূর্তে ফার্মাসিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ভবিষ্যতেও দেশের ফার্মাসিস্টরা দক্ষতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও জাতীয় মর্যাদা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।”অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রোশ বাংলাদেশ লিমিটেড-এর হেড অব ইন্টিগ্রেটেড স্ট্র্যাটেজি মো. ওয়াহিদুজ জামান, এবং বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী ওয়ার্ল্ড ফার্মাসিস্ট ডে পালন করা হয়ে থাকে। এই দিনটি ফার্মেসি পেশাজীবীদের সম্মানিত করা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপন করা হয়।