দেশের বিভাগগুলোর মধ্যে বরিশালে সবচেয়ে বেশি ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ দরিদ্র মানুষের বসবাস। এই বিভাগের মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ দরিদ্র মানুষের বাস।অন্যদিকে দেশের সবচেয়ে কম দরিদ্র অর্থাৎ ১৫ দশমিক ২ শতাংশ মানুষের বসবাস চট্টগ্রাম বিভাগে। ঢাকায় দারিদ্র্যের হার ১ দশমিক ৮ শতাং বেড়ে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। তবে একই সময়ে দারিদ্রের হার কমেছে রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত দেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ও বিবিএসের যৌথ গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার বিআইসিসি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেরনে প্রতিবেদনটি তুলে ধরে সংস্থাটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ১৯ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে। এর মধ্যে শহরে দারিদ্র্যের হার সাড়ে ১৬ শতাংশ হলেও, গ্রামে সেই হার ২০ শতাংশের বেশি।বিবিএস জানিয়েছে, এবার রংপুরকে পেছনে ফেলে বরিশাল সর্বোচ্চ দারিদ্র্যপীড়িত বিভাগ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। ২০১৬ সালে বরিশাল দারিদ্র্যের দিক থেকে ছিল পঞ্চম স্থানে।সেবার রংপুরের দারিদ্র্যের হার ছিল সর্বোচ্চ ৪৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। ছয় বছর পর ২০২২ সালের হিসাবে রংপুরের দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশ।জেলা পর্যায়ে দেশের সর্বোচ্চ দারিদ্র্যের হার মাদারীপুরে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ, যা জাতীয় গড়ের প্রায় তিনগুণ। আর নোয়াখালীতে দারিদ্র্যের হার সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ১ শতাংশ, যা জাতীয় গড়ের এক-তৃতীয়াংশ।