শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বোরো মৌসুম যেন এক আনন্দবার্তা হয়ে এসেছে। সময়মতো কৃষি পরামর্শ, উন্নতমানের বীজের ব্যবহার, সঠিক সময়ে সেচ ও সার প্রয়োগ এবং অনুকূল আবহাওয়া—সব মিলিয়ে এবারের মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন দেখা গেছে। মাঠজুড়ে এখন সোনালী ধানের হাসি, আর কৃষকের চোখেমুখে ঝিলিক দিচ্ছে তৃপ্তির দীপ্তি।
উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসেন জানান, চলতি অর্থবছরে কালিহাতীতে বোরো ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮,৬৩০ হেক্টর, আর অর্জিত হয়েছে ১৮,২৯৫ হেক্টর জমিতে। কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, আধুনিক প্রযুক্তির সুচারু প্রয়োগ এবং কৃষি বিভাগের নিবিড় তদারকি এ সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। আবহাওয়ার সহায়তাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “আমরা কৃষকের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। বাম্পার ফলনে কৃষকদের মতো আমরাও আনন্দিত। নিয়মিত প্রশিক্ষণ, পরামর্শ এবং মাঠপর্যায়ে সহায়তা দিয়ে গেছি।
ঘুনি এলাকার কৃষক শওকত হোসেন জানান, এবার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আমি ২৪ শতাংশ জমিতে ধান করেছি। আগে যেখানে ৫-৬ মণ পেতাম, এবার আল্লাহর রহমতে ৮-৯ মণ ধান পেয়েছি। তবে ধান কাটার শ্রমিকের দাম ৯০০ টাকা করে হলেও তিনবেলা খাবারসহ ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা লাগছে। সবকিছুর দাম বাড়ায় একটু বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
আরেক কৃষক খলিলুর রহমান খলিল জানান, আবাদ খুব ভালো হলেও অন্যান্য খরচ বেশি হওয়ায় সমস্যায় পড়ছি।
উপজেলার বিভিন্ন মাঠে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। কোথাও চলছে ধান কাটা, কোথাও মাড়াইয়ের দৃশ্য। খুশির হাসি নিয়ে কৃষকেরা ধান ঘরে তুলছেন। সংশ্লিষ্টদের মতে, এই বাম্পার ফলন শুধু কৃষকের মুখে হাসিই নয়, বরং কালিহাতী উপজেলার খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।