গ্রামের প্রান্তিক কৃষকদের জন্য ব্যতিক্রমী স্কুল হলো ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল’।আর এই স্কুলের শিক্ষার্থী হলো কৃষক- কৃষাণী। ব্যতিক্রমী এই স্কুলে পড়ে কৃষক-কৃষাণীরা দক্ষ হয়ে উঠছে পরিবেশবান্ধব চাষাবাদে। ভূমিকা রাখছে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটাতে। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় টেকসই পুষ্টিকর নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও উদ্যোক্তাদের মান উন্নয়নে আশার আলো জাগিয়েছেন কৃষি বিভাগের এই পার্টনার মাঠ স্কুল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে পার্টনার ফিল্ড স্কুলের কার্যক্রম চলছে। এসব পার্টনার ফিল্ড স্কুলে মুক্ত বাতাশে ত্রিপলশিট বিছিয়ে ২৫ জন কৃষক-কষাণী মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করছেন।কৃষক-কৃষাণীদের নির্দিষ্ট ফসলের উপর মৌসুমব্যাপী (গ্যাপ ৪ টি, ধান ২টি, তেল ১টি, গম ২টি) ১০ টি ক্লাসে শেখানো হচ্ছে ফসলের আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি। ক্লাসের পাশাপাশি মাঠে হাতে কলমে ফসলের রোগ ও পোকামাকড় পরিচিতি এবং প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ধান, গম, ভূট্টা, তেল, পুষ্টি, উত্তম কৃষি চর্চা উপর পিএফএস রয়েছে। ফল উৎপাদনের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ১০ টি পার্টনার মাঠ স্কুলের মধ্যে ৩ টি পার্টনার মাঠ স্কুলের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে,বাকী ৭ টি পিএফএস চলমান রয়েছে।এই স্কুলগুলোতে ফসলের আধুনিক চাষাবাদ ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন,উত্তম কৃষি চর্চা পিএফএসের মাধ্যমে নিরাপদ,মানসম্মত, বিষমুক্ত,ভোক্তার স্বাস্থ্য সুরক্ষা, কর্মীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা, রপ্তানিযোগ্য কৃষি পণ্য উৎপাদন বিষয়ে কৃষক কৃষাণীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।