পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ চত্বরে বজ্রপাতে সয়ে দ্বিখণ্ডিত দাঁড়িয়ে থাকা মেহগনি গাছে ঝুলছে ঠাঁটা চত্বর’ লেখা একটি সাইনবোর্ড।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল পৌনে ১০টার দিকে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সামনে বজ্রপাতে মেহগনিগাছ ফেটে দ্বিখণ্ডিত দাঁড়িয়ে থাকে।এ খবর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ার পর গাছটিকে একনজর দেখার জন্য কলেজে উৎসুক জনতার ভিড় বাড়ছে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এরপর দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই গাছটিতে দেখা যায় ঠাঁটা চত্বর লেখা কাগজের একটি সাইনবোর্ড। প্রকৃতির ভয়ংকর এই রূপকে ভয় না পেয়ে কে বা কারা ঠাট্টায় মেতে উঠে জায়গাটির নাম দিয়েছে ঠাঁটা চত্বর, যা মোটেও কারো উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন একটি সচেতন মহল।
এ বিষয়ে এডওয়ার্ড কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এর আগেও সেখানে দুইটি নারকেল গাছের উপর বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে, গাছ দুটি মারাও গিয়েছে। এবার মেহগনি গাছে বজ্রপাত হয় এবং গাছটি দুই খণ্ড হয়ে যায়। আমাদের প্রাথমিক ধারণা এখানে আল্লাহর গজব নাজিল হয়েছে।
আরিফ নামের একজন বলেন, ‘ভয়ংকর একটি বজ্রপাতের সাক্ষী হলাম আমরা। চোখের সামনে বজ্রপাতে একটি গাছ দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল। বিষয়টিকে নিয়ে কি আমরা কখনো গভীরভাবে ভেবে দেখেছি। ঘটনাটি কত বড় ভয়ংকর। এই ঘটনা থেকে আমাদের তওবা করে ভালো পথে ফিরে আসা উচিত। কিন্তু সেটি না করে আমরা ঠাট্টার মাধ্যমে জায়গাটির নাম দিয়ে দিলাম ঠাঁটা চত্বর। কে বা কারা এই সাইনবোর্ড টি ঝুলিয়েছেন জানি না। তবে মোটেও উচিত হয়নি এমন কাজ করা।’
সাগর হোসেন রনি নামের এক সচেতন নাগরিক বলেন, ‘বজ্রপাতে গাছ দুই খণ্ড হওয়া এলাকাটিকে ঠাঁটা চত্বর নাম দেয়া হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক৷ ন্যূনতম জ্ঞান থাকলে এই কাজ কেউ করতে পারতেন না। যাই হোক, বজ্রপাতে গাছ দুই খণ্ড হওয়ার ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত যে, আমাদের সব সময় ভালোর পথে চলতে হবে। তাছাড়া যে কোনো সময় গাছে বজ্রপাতের মতো নিজের জীবন ও চলে যেতে পারে।’