বন্যায় সুনামগঞ্জের ৯০ ভাগ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২২শ কিলোমিটার সড়ক। এর মধ্যে সড়ক ও জনপথের ১৮৪ কিলোমিটার এবং বাকি দুই হাজার কিলোমিটার এলজিইডির আওতাধীন বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ। জেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি কমতে থাকায় দৃশ্যমান হচ্ছে বন্যার বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের গোবিন্দপুর এলাকা। এ সড়ক দিয়ে সুনামগঞ্জ শহরে প্রবেশ করার পথে পূর্বপাশে অবস্থিত 'দেখার হাওর'।
পাহাড়ি ঢলের পানিতে হাওর উপচে প্লাবিত হয়েছে মহাসড়ক ও গোবিন্দপুর সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম। বিধ্বস্ত হয়েছে বাঁশ ও মাটির ঘর। দুমড়েমুচড়ে গেছে টিনের বেড়া। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তা।
গত ক'দিনের বন্যার লন্ডভন্ড গোটা জনপদ। বন্যার পানির তীব্র স্রোতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট- সুনামগঞ্জ মহাসড়কের বেশ অংশ।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম জানান, কিছু স্থানে বন্যার পানি নামায় দৃশ্যমান হয়েছে সড়কগুলো। তবে জলমগ্ন পিচঢালা সড়কে যানবাহন চলাচলে ক্ষতি আরো বাড়ছে। রাস্তার বিটুমিন উঠে গিয়ে তৈরি হচ্ছে বড় বড় গর্ত।
পানির তোড়ে ভেসে গেছে গ্রামীণ সড়কের অনেক ব্রিজ ও কালভার্ট। এ কারণে জেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে উপজেলাগুলো।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, বেশির ভাগ সড়ক এখনও পানির নিচে ডুবে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করা যাচ্ছে না। পানি পুরোপুরি নামার পরেই শুরু হবে সড়ক মেরামতের কাজ।