ড্রাগন ফল। কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশের মানুষ জানতো এটি বিদেশি ফল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে দেশে এর চাষ এতোটা বেড়েছে যে, এখন এটি দেশি ফল বলেও পরিচিত।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বড় কাঞ্চনপুর গ্রামে ড্রাগনের চাষ হচ্ছে। জানা গেছে, টক-মিষ্টি ও মিষ্টি স্বাদের ড্রাগন চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার মো মেহেদী হাসান। প্রথমে সখের বসে ড্রাগন চাষ শুরু করলেও অধিক লাভমান হওয়া এখন বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করছেন এই তরুন শিক্ষিত যুবক।
গতানুগতিক কৃষির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে লাভজনক ফসল উৎপাদনে বিশ্বাসী তিনি নিজের জমিতে ২ হাজার ড্রাগন ফলের গাছে লাগিয়েছেন ।
বাগান ঘুরে দেখা যায়, চারদিকে সবুজের সমারোহ। প্রতিটি গাছে ঝুলছে তিন থেকে চারটি করে কাঁচা, পাকা ও আধা পাকা ড্রাগন ফল। বাগানে কাজ করছিলেন ৪-৫ জন শ্রমিক। তাদের মধ্যে কয়েকজন গাছ থেকে পাকা ফল সংগ্রহ করছিলেন। অন্যরা নিড়ানি দিয়ে আগাছা তুলছিলেন। প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতার প্রতিটি কংক্রিটের খুঁটি পেঁচিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন ফলের গাছ।
প্রত্যেক খুঁটিতে ৪টি করে গাছ লাগানো হয়েছে। ড্রাগন ফল গাছ খুব দ্রুত বাড়ে এবং শাখা তৈরি করে। একটি গাছ বছরে ৩০টি পর্যন্ত শাখা তৈরি করতে পারে। ড্রাগন ফল রোপণের এক বছরের মাথায় ফল সংগ্রহ করা যায়। প্রতিটি ফল ২০০-৩০০ গ্রাম করে ওজন হয়। প্রতিকেজি ফল পাইকারি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হয়। ড্রাগন ফল চাষে অনেক খরচ হলেও এটি অনেক লাভজনক ফসল বলে মেহেদী দেখাদেখি অনেক চাষি ড্রাগন চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
ড্রাগনচাষি তরুণ যুবক জানান, ইউটিউব দেখে শখের বশে তিনি বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। শিক্ষিত বেকারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চাকরি নামের সোনার হরিণের পিছনে না ছুটে তারা যদি নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে ড্রাগন ফল চাষ করে তাহলে নিজের বেকারত্ব দূর হবে, পাশাপাশি মোটা অংকের টাকাও উপার্জন করা সম্ভব হবে। সরকার যদি ড্রাগন চাষের উপরে ঋণের ব্যবস্থা করে তাহলে বেকার যুবকরা ড্রাগন চাষে আগ্রহী হবে।

এবছর প্রায় ৮ লক্ষ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করতে পারবেন বলেন জানান তিনি। এছাড়া যদি কেউ ড্রাগনে চারা বা ফল সুলভ মুল্যে বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তিনি। খুচরা ও পাইকারি মূল্যে ফল ও ড্রাগন চারা সংগ্রহ করতে যোগাযোগ করতে পারেন। মোবাইল নাম্বার ০১৬৭৫ ৬২৪২১৮।