নোয়াখালী ও জামালপুরে পৃথক অভিযানে ৯৯ হাজার লিটার মজুদ সয়াবিন তেল জব্দ করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার সকালে পৃথকভাবে পরিচালিত এ দুই জেলায় অভিযানে ৯৯ হাজার লিটার সয়াবিন তেল মজুদের দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সকালে মেলান্দহ বাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের মজুদ করা তেল জব্দ করা হয়। এ প্রসঙ্গে মেলান্দহ উপজেলার সহকারী কমিশনার সিরাজুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাজারে অভিযান চালানো হয়।
এসময় তপু এন্টারপ্রাইজের গুদামে ৫৬ হাজার লিটার এবং জননী তেল ভাণ্ডারে ২৫ হাজার ৫০০ লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত তেল থাকায় তপু সাহাকে ২০ হাজার টাকা ও সিরাজুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে অবৈধভাবে ১৮ হাজার লিটার সয়াবিন তেল মজুদের দায়ে বিজয়া ভান্ডারের মালিকেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ব্যবসায়ীদের সর্তক করতে এবং তেল মজুদ থেকে বিরত রাখতে প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক।
এর আগে, গত বুধবার পাকা রসিদসহ অর্ডার দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে মিলারকে ডিলারের হাতে তেল পৌঁছাতে হবে এমন সিদ্ধান্ত জানানো হয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে। কেউ যাতে কারসাজি করতে না পারে সেজন্য বৃহস্পতিবার মিলগেটে চালানো হয় অভিযান।
দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে ২০ লাখ মেট্রিক টন। রমজান মাস ছাড়া অন্য মাসগুলোর চাহিদা দেড় লাখ টনের নিচে।
বর্তমানে দেশের মিল, বাজার, ও সমুদ্র পথে আছে ৪ লাখ টনের বেশি তেল। তবে এ পরিসংখ্যান আর বাজারের তথ্য মিলছে না।
বাড়তি দামে দিশেহারা দেশের সাধারণ মানুষ। এ কৃত্রিম সংকটের পেছনে কার দায়, তা জানতেই ভোক্তা অধিকারের সভায় মুখোমুখি হয়েছেন পরিবেশক ও মিল মালিকপক্ষ। এ সভায় পাল্টাপাল্টি জবাবের একপর্যায়ে উঠে আসে মিলগেটে ট্রাকের জটলাকে জিম্মি করে বড় অংকের চাঁদাবাজির তথ্য।
সভায় জানানো হয়, আগামী মে মাস থেকে খোলা সয়াবিন এবং ডিসেম্বর থেকে খোলা পাম তেল বিক্রি বন্ধ হবে।